Subscribe to Updates
Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.
- ডিপসিক ব্যবহার করলেই ২০ বছরের জেল? মার্কিন আইনের বিতর্ক ও বিশ্লেষণ
- ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত ও পশ্চিমা গণমাধ্যম: একটি বিশ্লেষণ
- ট্রাম্পের গোল্ড কার্ড স্কিম: সুবিধা ও অসুবিধার বিশ্লেষণ
- নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণ ও বিশ্লেষণ
- Microsoft CoPilot বনাম ChatGPT: কার AI Writing শক্তিশালী?
- গাজা যুদ্ধের সাথে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ভবিষ্যত কতটা জড়িত?
- ইস্তাম্বুলের মেয়র গ্রেফতার এবং কারাদণ্ড: তুরস্কে রাজনৈতিক অস্থিরতা
- কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি বনাম ট্রাম্প প্রশাসন: প্রতিবাদ, তহবিল কাটছাঁট ও ক্যাম্পাস অধিকারের সংঘাত
Author: True Path
ভয়েস অব ওপেন আইস ডেস্ক সার্বিয়ার সংসদে গতকাল এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে। তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে সংসদ অধিবেশন চলাকালীন বিভিন্ন দলের সংসদ সদস্যদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে এক পর্যায়ে সংসদ ভবনের ভেতরে বোমা নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য গুরুতর আহত হন। সংসদে কী ঘটেছিল? প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিতর্কিত একটি বিল নিয়ে আলোচনা চলছিল। সরকারপন্থী ও বিরোধী দলীয় এমপিদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পরপরই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষয়টি মারামারিতে রূপ নেয়, এবং এক পর্যায়ে কোনো এক অজ্ঞাত ব্যক্তি সংসদ কক্ষে বোমা ছুঁড়ে মারে। এতে কক্ষের ভেতরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং আইনশৃঙ্খলা…
গাজা পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা ও আরব উদ্যোগঃ কায়রোতে অনুষ্ঠিত এই জরুরি আরব শীর্ষ সম্মেলনে গাজা পুনর্গঠনের জন্য একটি সমন্বিত রোডম্যাপ উপস্থাপন ও অনুমোদন করা হয়েছে। মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সম্মেলনে গাজা পুনর্গঠনের একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা পেশ করেন, যার লক্ষ্য হলো গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে নতুন করে জীবন ও অবকাঠামো গড়ে তোলা, তবে একজন ফিলিস্তিনিকেও তাদের ভূমি থেকে উৎখাত না করা। এই পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিচে তুলে ধরা হলো: সর্বোপরি, সম্মেলনের মূল বার্তা ছিল যে গাজার ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি জনগণের হাতেই থাকবে এবং আরব বিশ্ব এই পুনর্গঠনে নেতৃত্ব দেবে। এতে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে স্থায়ী শান্তির পথও সুগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের…
“No Other Land” একটি বহুল প্রশংসিত প্রামাণ্যচিত্র, যা ফিলিস্তিনের মাসাফার ইয়াত্তা অঞ্চলে চলমান সংকট এবং প্রতিরোধ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নির্মিত। এটি ২০২৪ সালে নির্মাণের পর থেকে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলে এবং শেষমেশ ২০২৫ সালে সেরা প্রামাণ্যচিত্রের জন্য অস্কার পুরস্কার অর্জন করে। ডকুমেন্টারিটি শুধু চলচ্চিত্র মাধ্যমেই নয়, বাস্তব জীবনেও একটি “প্রতিরোধের কর্ম” হিসেবে বিবেচিত – এর নির্মাতারা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ন্যায়বিচারের পথে একটি সোচ্চার কণ্ঠ হিসেবে একে উপস্থাপন করেছেন। এই ব্লগ পোস্টে আমরা “No Other Land” ডকুমেন্টারির পেছনের পটভূমি, এতে দেখানো ঘটনার বর্তমান অবস্থা, সামাজিক-রাজনৈতিক প্রভাব, আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া এবং ভবিষ্যতে সংকট সমাধানের সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। পটভূমি: ডকুমেন্টারির নির্মাণ ও…
মুখবন্ধ: ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এর শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত Zelenskyy-Trump বৈঠক ঘিরে তীব্র নাটকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Zelenskyy) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎ করতে ওয়াশিংটনে আসেন মূলত খনিজ সম্পদ চুক্তি চূড়ান্ত করতে এবং চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা করতে। কিন্তু Oval Office-এ কথোপকথন দ্রুতই উত্তেজনাপূর্ণ মোড় নেয়। পরিণতিতে নির্ধারিত চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি এবং এই হোয়াইট হাউস বিতর্ক পশ্চিমা জোটের সম্পর্কে ভাঙন ধরার আশঙ্কা তৈরি করে। নিচের অংশগুলোতে বৈঠকের উদ্দেশ্য, Oval Office-এ বিতর্কের বিস্তার, কেন খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি, বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া, ইউরোপীয় নেতাদের প্রতিক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সম্ভাব্য প্রভাব…
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, ঢাকা বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররা ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছে। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত এই ঘোষণায় হাজারো তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। নতুন দলের আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব হিসেবে আখতার হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দলটির মূল লক্ষ্য হলো গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করা, যা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। নাহিদ ইসলাম তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশে ভারত বা পাকিস্তানপন্থী কোনো রাজনীতি হবে না। আমরা বাংলাদেশকে সামনে রেখে রাজনীতি ও রাষ্ট্র নির্মাণ করব।” এনসিপির…
যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়। তারা আশা নিয়ে পাড়ি জমায় নতুন জীবনের সন্ধানে, কিন্তু তাদের সামনে অপেক্ষা করে নির্মম বাস্তবতা।সীমান্ত পারাপারের সময় মানুষের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এসব নির্মম ঘটনা এবং তাদের মর্যাদা নিয়ে লড়াই এখন এক গভীর মানবিক সমস্যা। অভিবাসন নীতি কিভাবে এই বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে এবং কেন এটি একটি মহাসংকট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আজকের আলোচনায়। এই আলোচনা পাঠকদের সীমান্তের জীবন-মৃত্যুর বাস্তবতায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গির দিকে নিয়ে যাবে, যা শুধুমাত্র পরিসংখ্যান নয়, বরং মানব জীবনের জটিলতা এবং কষ্টকে তুলে ধরবে। যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে অভিবাসন নীতির বাস্তবতা অতি নির্মম। বহু মানুষ…
প্রস্তাবনা: প্রায় চার দশকের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর যদি কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (PKK) হঠাৎ করে অস্ত্র ত্যাগ করে, অনেকেই জানতে চান এটি কি সত্যিই পুরো মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ফেরাতে পারে? তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল থেকে শুরু করে সিরিয়া ও ইরাকের পার্বত্য সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত এই সংঘাতের রয়েছে গভীর ঐতিহাসিক শিকড় এবং বহুমাত্রিক আন্তর্জাতিক প্রভাব। এই ব্লগ পোস্টে আমরা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, বর্তমান পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর ভূমিকা, PKK-এর নিরস্ত্র হওয়ার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ, এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর এ পদক্ষেপের প্রভাব নিয়ে বিশদ বিশ্লেষণ করব। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: PKK-এর উত্থান ও সংঘাতের শুরু ১৯৭৮ সালে আব্দুল্লাহ ওজালান-এর নেতৃত্বে PKK গঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে তুরস্কের বিরুদ্ধে…
সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর মুসলিম বিশ্বে গভীর উচ্ছ্বাস তৈরি করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সৌদি কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে নতুন চাঁদ দেখা গেছে এবং ফলস্বরূপ শনিবার (১ মার্চ) থেকে দেশটিতে রমজান মাস শুরু হবে। অর্থাৎ ১৪৪৬ হিজরি সনের রমজান মাসের প্রথম দিন ১ মার্চ তারিখে পালন করা হবে। এই ঘোষণার পরেই মসজিদগুলোতে এশার নামাজের পর তারাবিহ’র বিশেষ নামাজ শুরু হয়, যা রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য। বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা সৌদি আরবের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে একে অপরকে রমজান মোবারক জানাতে শুরু করেছেন। রমজানের চাঁদ দেখা: ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক দিক ইসলামী চান্দ্র বর্ষপঞ্জিতে প্রতিটি মাসের শুরু নির্ধারিত হয় আকাশে নতুন…
মধ্যপ্রাচ্য বিশ্বের সবচেয়ে অস্থিতিশীল অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি, এবং ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার উত্তেজনা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় হুমকি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা নতুন করে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার পটভূমি, বর্তমান পরিস্থিতি, এবং মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার পটভূমি ইতিহাস ও উৎপত্তি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনার শিকড় ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবে নিহিত। বিপ্লবের পর ইরান ইসরায়েলকে একটি অবৈধ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের নীতি গ্রহণ করে। ইরান ইসরায়েলের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে এবং ফিলিস্তিনি সংগ্রামকে…
গাজা উপত্যকায় সংঘাতের ইতিহাস দীর্ঘ এবং জটিল। সম্প্রতি, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে, এই যুদ্ধবিরতি কি স্থায়ী শান্তি আনবে, নাকি এটি নতুন সংঘাতের সূচনা মাত্র? গাজা সংঘাতের পটভূমি গাজা উপত্যকা ফিলিস্তিনের একটি ক্ষুদ্র অঞ্চল, যা ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল এই অঞ্চলটি দখল করে। ২০০৫ সালে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করলেও, গাজা এখনো অবরুদ্ধ এবং নিয়ন্ত্রণাধীন। হামাস ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে, যা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাতের মূল কারণগুলোর একটি। সাম্প্রতিক সংঘাত ও যুদ্ধবিরতি ২০২৩ সালের অক্টোবর…