২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ফ্রিজ করা ১২৪ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬৩৫ কোটি টাকা পেয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
সোমবার (১০ মার্চ, ২০২৫) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার, গৃহীত পদক্ষেপ ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভায় এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সভায় উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। মালয়েশিয়ার একটি অ্যাকাউন্টে রাশিয়ান ‘স্লাশ ফান্ড’ এর অস্তিত্বও পাওয়া গেছে।
এছাড়া, আদালতের আদেশে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ পরিবারের সদস্যদের ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
সভায় আরও জানানো হয়, ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা দলিল মূল্যে রাজউকের ৬০ কাঠা প্লট এবং ৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা মূল্যের ১০ শতাংশ জমিসহ আটটি ফ্ল্যাট অবরুদ্ধ করেছে বিএফআইইউ।
অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে যে ১১টি অর্থপাচারের মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এসব মামলার মধ্যে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অর্থ পাচার মামলা এক নম্বরে রয়েছে।
এই পদক্ষেপের ফলে, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। দেশের সাধারণ জনগণ এই বিষয়ে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সঠিক তথ্য উদঘাটনের প্রত্যাশা করছে।